Ahmedabad Plane Crash: 'মা বলেছিল ফিরে আসবে', ফোন আঁকড়ে বসে ছোট্ট মেয়ে, বারবার ডায়াল করছে একটাই নম্বর, যদি কেউ সাড়া দেয়...
<p><strong>Ahmedabad Plane Crash: </strong>'মা বলেছিল ফিরে আসবে'... অপেক্ষায় বসে ছোট্ট মেয়ে। এখনও সে জানে না তার মায়ের সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে। তবে গোটা দুনিয়া এখন জেনে গিয়েছে, আর ফিরবেন না অপর্ণা। </p> <p>অপর্ণা মহাদিক, এয়ার ইন্ডিয়ার আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমানের ক্রু-মেম্বার ছিলেন তিনি। AI 171- 'অভিশপ্ত' এই বিমানটিই আমদাবাদ থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় টেক অফের পরেই ভেঙে পড়েছে। পাইলট, ক্রু মেম্বার, যাত্রী-সহ ২৪২ জনকে নিয়ে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। একজন যাত্রী ছাড়া বাকি সকলেরই মৃত্য হয়েছে ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনায়। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন অপর্ণা। জানা গিয়েছে, এনসিপি- র সাংসদ সুনীল ততকারের আত্মীয়া ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার এই ক্রু মেম্বার। </p> <p>অপর্ণা যে আর নেই, তা বিশ্বাস করতেই পারছেন না পরিবারের লোকজন। এখনও অপর্ণা মৃত্যুর খবর জানে না তার ছোট মেয়ে। 'মা বলেছে ফিরে আসবে', এই কথা ধরেই বসে আছে সে। অন্যদিকে অপর্ণার আত্মীয় এবং মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অদিতি ততকারে জানিয়েছেন, ডিএনএ রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত বাচ্চা মেয়েটিকে অপর্ণার মৃত্যুর খবর জানানো হবে না। ইতিমধ্যেই অপর্ণার পরিবারের সদস্য আমদাবাদ পৌঁছে গিয়েছেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এবং অফিশিয়াল কাজকর্মের জন্য। আর অপর্ণার মেয়ে এখনও বারবার ফোন করে যাচ্ছে মায়ের ফোনে। আশা নিয়ে আছে, একবার হয়তো মা ফোন তুলবে, কথা বলবে। আর বাড়ির বাকিরা অপেক্ষা করছেন ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য। তারপরেই পাওয়া যাবে নিশ্চিত খবর। </p> <p>অপর্ণার আত্মীয়া অদিতি জানিয়েছেন, দারুণ মনোবল ছিল অপর্ণার। সকলকে ভালবাসতেন। কাজ আর পরিবারকে দুর্দান্ত ভাবে সামলাতেন তিনি। কয়েকদিন আগেই পারিবারিক অনুষ্ঠানে নিজের ভাইবোনদের সঙ্গে অনেকদিন পরে দেখাও হয়েছিল অপর্ণার। পরিবারে ছিল খুশির হাওয়া। তবে এক লহমায় সব শেষ হয়ে গেল। বাড়ির প্রাণভোমরা ছিলেন অপর্ণাই। তাঁর সাধের পোষ্য ল্যাব্রাডরটিও ভীষণ ভাবে মুষড়ে পড়েছে, একদম চুপচাপ হয়ে গিয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই এই অবস্থা ওই পোষ্য সারমেয়র। বিয়ের আগে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ছিলেন অপর্ণা। ছোটবেলায় বাবাকে হারান। তারপর থেকে মায়ের কাছেই মানুষ। বিয়ে হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। সেখানকার রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান অল্পদিনের মধ্যেই আয়ত্ত করে নিয়েছিলেন অপর্ণা। পরিবারের সকলের চোখের মণি ছিলেন তিনি। তাঁর এ হেন পরিণতিতে শোকস্তব্ধ সকলেই। </p>
from india https://ift.tt/a5D0YBM
from india https://ift.tt/a5D0YBM
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন